হেরে গেলেন রাগীব আলী


প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৫

আদালতের রায়ে হেরে গেলেন কথিত দানবীর রাগীব আলী। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের ঐতিহ্যবাহি তালিবপুর গ্রামের নাম বহাল রাখার পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত।

সোমবার সিলেটের সহকারী জজ আদালতের বিচারক লায়লা মেহেরবানু এই রায় দেন।

সিলেটের লিডিং ইউনির্ভাসিটি ও রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মালিক চা-কর রাগীব আলী নিজের নামে ঐতিহ্যবাহি তালিবপুর গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ‘রাগীব নগর’ করার চেষ্টা করছিলেন।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তালিবপুর গ্রামের নাম বহাল রাখতে আদালতে মামলা করেন এলাকাবাসী।

সূত্রে জানা যায়, কামাল বাজার ইউনিয়নের তালিবপুর গ্রাম বহুকাল ধরেই এই নামে পরিচিত। সম্প্রতি এই অঞ্চলের শিল্পপতি গ্রামের নাম নিজের নামে বদলে রাগীবনগর করার উদ্যোগ নেন।এর প্রতিবাদ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।নাম বদলের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।

তবু নাম পরিবর্তন ঠেকাতে না পেরে ২০০৪ সালে তালিবপুর গ্রামবাসীর পক্ষে আবু সাঈদ গং একটি মামলা দায়ের করেন।মামলায় রাগীব আলী গংকে বিবাদী করা হয়।একাধিক আদালত ঘুরে, দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার মামলাটির রায় দেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নিহার রঞ্জন পুরকায়স্থ জাগো নিউজকে বলেন, আদালতের রায়ে গ্রামের নাম তালিবপুর বহাল রাখার ডিক্রি জারি করা হয় হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট নিহার রঞ্জনের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল রায়।বিবাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান।

বহুল আলোচিত এই মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী আবু সাঈদ বলেন, রাগীব আলী খুবই দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ।তিনি গ্রামের নাম বদলানোর জন্য পুরো গ্রামবাসীর বিপক্ষে অবস্থান নেন।

ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রামের নাম পাল্টিয়ে ‘রাগীব নগর’ করেন এবং কৌশলে তার মালিকানাধীন দৈনিক সিলেটের ডাকে পত্রিকায় রাগীব নগরের পক্ষে মিথ্যা প্রচারণা চালান।আদালতের রায়ে তার এই অনৈতিক কার্যকলাপের পরাজয় হয়েছে।

আবু সাঈদ বলেন, তালিবপুর শুধু একটি গ্রামের নাম নয়, তালিবপুর গ্রামের নামে ওই এলাকার মৌজার নামও। তাই গ্রামবাসী স্বঘোষিত কতিথ দানবীর রাগীব আলীর অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।আর একারণে নিরীহ গ্রামবাসীকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে তিনি হয়রানি করেন।

ছামির মাহমুদ/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।