পোলিং অফিসারকে থাপ্পড় মারা সেই আ.লীগ নেত্রী জয়ী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় জাল ভোট দিতে বাধা দেয়ায় পোলিং অফিসারকে থাপ্পড় মারা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার রোজি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

৩০ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রোজিনা আক্তার রোজি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীমা আক্তার মেরি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৭১ ভোট।

রোজিনা আক্তার রোজি চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। চাটখিল উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থী হিসেবে কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন তিনি। ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদিকে, চাটখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাহাঙ্গীর কবির নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীর কবিরের পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল করিম দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১০৫৮ ভোট।

এর আগে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলী তাহের ইভু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে বাকি পদগুলো আজ ভোট হয়।

এর আগে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ফয়জুন্নেছা মহিলা দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রের ৫নং বুথে পোলিং অফিসারকে থাপ্পড় মারেন আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে একই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবু জাফর ভূঁইয়া বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোট চলাকালীন জাল ভোট দেয়া নিয়ে কলস প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রোজিনা আক্তার রোজির সঙ্গে পোলিং অফিসার হুমায়ুন কবির দেওয়ানের তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রোজিনা আক্তার রোজি পোলিং অফিসার হুমায়ুন কবিরকে থাপ্পড় মারেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়।

প্রিসাইডিং অফিসার আবু জাফর ভূঁইয়া আরও বলেন, খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করেন পোলিং অফিসার নাকি রোজিকে পাল্টা থাপ্পড় মেরেছেন। তবে তাকে থাপ্পড় মারার বিষয়টি আমরা দেখিনি। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুই পক্ষের কথা শুনে উভয়কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।

এ বিষয়ে পোলিং অফিসার হুমায়ুন কবির দেওয়ান বলেন, আমি মল্লিকা দিঘিরপাড় ফাজিল মাদরাসার একজন সিনিয়র শিক্ষক। জাল ভোট দিতে বাধা দেয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাকে থাপ্পড় মারেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি তাকে থাপ্পড় মারিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রোজিনা আক্তার রোজি বলেন, ওই কেন্দ্রে জাল ভোট হাতেনাতে ধরায় আমার সঙ্গে পোলিং অফিসার হুমায়ুন কবিরের তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় তাকে আমি চড় দিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ুন কবিরও আমাকে চড় দেন। এতে আমি প্রচণ্ড ব্যথা পাই।

মিজানুর রহমান/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।