ঘরে তুলে না নিলে বারান্দায়ই বসে থাকব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯

ঝিনাইদহের মহেশপুরে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় ১০ দিন ধরে অবস্থান করছেন নাজমা খাতুন নামে এক তরুণী। তিনি গত ২২ মার্চ (শুক্রবার) থেকে উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের গাবতলা পাড়ার হারুন গাজির বাড়িতে অবস্থান নেন। যতদিন স্বামী তাকে ঘরে তুলে না নেবে ততদিন ওই বাড়ির বারান্দায় বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী।

নাজমা খাতুন মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের গাবতলা পাড়ার নজরুল ইসলামের মেয়ে।

নাজমা খাতুন জানান, পান্তাপাড়া ইউনিয়নের গাবতলা পাড়ার আবুল গাজির ছেলে হারুন গাজির সঙ্গে তার আট বছরের সর্ম্পক। তিন বছর আগে হারুন গাজি তাকে ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করেন। পরে তাকে বাড়িতে পাঠিতে দেয়ার পর হারুন গাজি তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেই হারুন গাজি বিভিন্ন তালবাহানা করতো। তাই তিনি কোনো উপায় না পেয়ে গত শুক্রবার (২২মার্চ) দুপুরে স্বামীর বাড়িতে এসে উঠেছেন।

নাজমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী আমাকে ঘরে তুলে নিতে তালবাহানা করছে। সে কারণেই আমি স্বামীর বাড়িতে এসেছি। আমাকে যতদিন আমার স্বামী ঘরে তুলে না নেবে ততদিন তার বাড়ির বারান্দায় অবস্থান নিয়ে বসে থাকবো।

নাজমার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে হারুন গাজি ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। এখন আমার মেয়েকে ঘরে তুলে নিতে বাড়ির লোকজন তালবাহানা শুরু করেছে। এমনকি যেদিন আমার মেয়ে হারুন গাজির বাড়িতে উঠেছে সেদিনই হারুন গাজি বাড়ি থেকে পালিয়েছে।

হারুন গাজির মা ফজিলাতুন্নেছা বলেন, আমার ছেলে নাজমাকে বিয়ে করেছে কি-না জানি না। তাছাড়া নাজমা বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। তাহলে কীভাবে নাজমাকে বৌমা বলে মেনে নেবো। তবে সে আমার বাড়িতে উঠেছে থাক। আমরা তার খাওয়া-দাওয়া দিয়ে যাচ্ছি।

পান্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি লোক মুখে শুনেছি। আমার ইউনিয়নের অনার্স শেষ বর্ষের এক ছাত্রী স্বামীর বাড়িতে তুলে নেয়ার দাবি নিয়ে র্দীঘ ১০ দিন ধরে অবস্থান করছে। এর বেশি আর আমার জানা নেই।

মহেশপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এস এম আমান উল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মেয়েটি থানায় অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে মেয়েটি আমার কাছে কোনো অভিযোগ দিলে অবশ্যই আমি বিষয়টি দেখব।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।