প্রতিমন্ত্রীকে নেতাকর্মীরা বললেন ‘ভালো হয়ে যান’
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে নাজেহাল হলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
আয়োজকরা স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাওয়াত না দেয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে তারা প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি থামিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এ সময় প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। এ সময় ভুরুঙ্গামারী শহরের জিরো পয়েন্টে পৌঁছার সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির গতিরোধ করেন। তারা প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি থামিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবগত না করে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য মন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
তাদের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের দাওয়াত দেয়নি। উপরন্তু দলীয় সাংসদ হওয়ার পরও স্থানীয় নেতাদের না জানিয়ে কেন তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজাহান সিরাজ এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী খোকন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে ২০ মিনিট উচ্চবাচ্য চলে। একজন কর্মী চিৎকার করে বলেন, ‘ভালো হয়ে যান।’ এ সময় ওই আসনের এমপি আছলাম হোসেন সওদাগর উত্তেজিত নেতাকর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ছিলেন নিশ্চুপ।
স্থানীয় নেতারা প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আপনি আমাদের না জানিয়ে প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন, এতে আমাদের সম্মানহানি ঘটেছে।’
পরে প্রতিমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের নিবৃত করে তাদেরকে নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কিন্তু প্রতিবাদকারীর অনেকেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
এ ঘটনায় প্রতিবাদকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিমন্ত্রী আমাদের এখানে এলেন অথচ আমরা জানতে পারলাম না। এনিয়ে আমাদের মধ্যে মন কষাকষি হলেও পরে আমরা মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যাই।
এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ জানান, কোনো সমস্যা হয়নি। তবে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রতিমন্ত্রী নেতাদের সঙ্গে কিছুটা গ্যাপ তৈরি করেছেন। এজন্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনঃক্ষুণ্ন ছিল।
বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাজমুল হোসেন/এফএ/এমএস