কবিরহাট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
চতুর্থ ধাপে আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস নির্বাচন স্থগিতের সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশন কবিরহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে।
নোয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে কবিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিতরে নির্দেশটি বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে তাদের কাছে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী নিদের্শে যে কোনো সময়ে কবিরহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে ।
এদিকে কবিরহাট উপজেলা নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে এলাকার উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টারদিকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি কবিরহাট উপজেলায় তার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার নেতাকর্মীরা কোথায় কোনো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়- এমন কোনো কাজ করেনি। তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া আনারস প্রতীকের প্রার্থীর এলাকায় কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। বৃহস্পতিবার আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা কবিরহাট জিরো পয়েন্টে তার ছেলে সাবাব চৌধুরীর ওপর হামলা করে এবং কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আলা বক্স টিটু তার বাস ভবনে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল নাহার শিউল ও তার নেতাকর্মীদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, এ উপজেলায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।
মিজানুর রহমান/আরএআর/এমকেএইচ