বরিশালে বাসচাপায় ৭ জন নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯

বরিশাল নগরীর গড়িয়ারপার সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিএম কলেজের ছাত্রী শীলা হালদারসহ ৭ জন নিহতের ঘটনায় দুর্জয় বাসের চালকের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ ঘটনায় দুর্জয় বাসের চালক মো. জলিল মোল্লাকে (৩২) গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘণ্টাখানেক অভ্যন্তরীণ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্জয় পরিবহনের ঘাতক বাস চালক মো. জলিল মোল্লার কঠোর শাস্তির দাবিতে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন। পরে তারা নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে সড়কে একের পর এক প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। শুক্রবার গড়িয়ারপার সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকায় বরিশাল-বানারীপড়া সড়কে যাত্রীবাহী বাস দুর্জয় পরিবহনের চাপায় বিএম কলেজের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শীলা হালদারসহ ৭ জন নিহত হন। চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত চালক ও হেলপারের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তারা। পরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সেখানে উপস্থিত হয়ে নগরীর গড়িয়ারপার সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে ফিরে আসে।

barishal-Road-blockade

এদিকে বাসচালক মো. জলিল মোল্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাখানেক নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অভ্যন্তরীণ ভুরঘাটা, স্বরূপকাঠি, মিরগঞ্জসহ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল স্বভাবিক হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গড়িয়ারপার সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকায় বরিশাল-বানারীপড়া সড়কে দুর্জয় পরিবহনের একটি বাসচাপায় মাহেন্দ্রের সাত যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও চারজন।

নগরীর বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, বাসচাপায় সাতজন নিহতের ঘটনায় বিমানবন্দর থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘাতক বাস চালক মো. জলিল মোল্লা ও অজ্ঞতনামা হেলপারকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজিকালিকাপুর এলাকা থেকে বাসচালক জলিল মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক হেলপারকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাইফ আমীন/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।