তিন মাস বেতন পাননি কলেজের ৫২ শিক্ষক-কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৯

এডহক কমিটি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিন মাস যাবৎ বেতনভাতা পাচ্ছেন না রংপুর নগরীর রাধাকৃষ্ণপুর অনার্স কলেজের ৫২ শিক্ষক-কর্মচারী। আর এজন্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়ী করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে ওই কলেজে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ। তবে কলেজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ৫ সদস্যের কমিটির চারজনই এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর এডহক কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন দেলওয়ার হোসেন। আর এডহক কমিটি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ওই কলেজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় আফজাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

জানা যায়, অনুমোদিত এডহক কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষ সচিব (পদাধিকার বলে) এবং একজন দাতা সদস্য, একজন বিদ্যোৎসাহী ও একজন শিক্ষক প্রতিনিধি থাকার কথা।

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন কমিটি গঠনে আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন না।

আর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে কমিটির বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মৌখিকভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডাকা হলেও তিনি আসেননি।

ওই কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এডহক কমিটির সভাপতি নিয়ে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন একমত হলেও কমিটির সচিব কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

তিনি জানান, মশিয়ার রহমান দীর্ঘ তিনবছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। তিনি এ এডহক কমিটির সুযোগে ছিলেন। তিনি তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার ও কমিটির সচিব হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলওয়াার হোসেন তার পদ ছাড়তে চাইছেন না। তারা দুজনই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) দেলওয়ার হোসেন বলেন, আমরা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু মামলা সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই কমিটির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) রুহুল আমীন মিঞা বলেন, গত সপ্তাহে কমিটির বিষয়ে আলোচনার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেননি। কলেজে দুটি পক্ষ আছে। আগামী সপ্তাহে দাফতরিকভাবে তাদেরকে ডাকা হবে। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

জিতু কবীর/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।