হত্যার হুমকিতে অসুস্থ মাকে দেখতে গেলেন রাশেদ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রাশেদ খানকে হত্যার হুমকি দেয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা। খবর পেয়ে মাকে দেখতে গ্রামের বাড়ি ছুটে যান রাশেদ খান।

বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা সালেহা বেগম।

বৃহস্পতিবার অসুস্থ মাকে দেখতে ঝিনাইদহের মুরারিদাহ গ্রামের বাড়ি পৌঁছেন রাশেদ খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাশেদ। এই নির্বাচনে তাদের প্যানেলের নুরুল হক নুর ভিপি পদে বিজয়ী হন। তবে তারাসহ মোট পাঁচ প্যানেল অনিয়মের অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন দাবি করে। এ নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে রাশেদ খানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

এ খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ শহরের ইসলামিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

রাশেদের বাবা আবাই বিশ্বাস জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে তাদের গ্রামের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখায় ও রাশেদকে হত্যার হুমকি দেয়। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে পরিচয় না দিয়ে চলে যায় তারা।

rased-(1)

এ বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে আমার গ্রামের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। আমার বাবা-মাকে তারা বলে, ‘আপনার ছেলেকে এসব বন্ধ করতে বলেন। বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। এর আগেও বলেছি এখনও বলছি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে গুলি করে মেরে ফেলব। এমনও লোক আছে যাকে ১০ হাজার টাকা দিলে মেরে ফেলবে। তাই ভালোর জন্য বলছি। আর যেন কোনো আন্দোলন সংগ্রাম না করে। ওকে চুপ হতে বলেন।’

তাদের এসব কথা শুনে আমার মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর জ্ঞান আসে। হাসপাতালে আমার মাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। সকালে তাকে বাড়ি আনা হয়। খবর পেয়ে মাকে দেখতে আসি আমি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাশেদের পরিবারে পাঁচ সদস্য। তারা হলেন বাবা আবাই বিশ্বাস, মা সালেহা বেগম, বোন রূপা খাতুন, সোনিয়া ও রাশেদ খান।

রাশেদের বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। মা গৃহিণী, বড় বোন রূপা খাতুন কালিগঞ্জের সিংদাহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। ছোট বোন সোনিয়া খাতুন ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে ম্যানেজমেন্টের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

ঝিনাইদহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, মৌখিকভাবে ঘটনাটি শুনেছি। কারা রাশেদ খানের বাড়িতে গিয়েছিল সেটি উদ্ঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।