একটি সংবাদ জীবন তছনছ করে দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মামুনের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

শরীরে অচল দুটি কিডনি নিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে মামুন। সদ্য পাস করা টগবগে তরুণ এই ইঞ্জিনিয়ারের পুরো নাম মিনহাজুল আরেফিন মামুন (২৮)। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়া এলাকার মহসীন আলীর ছেলে তিনি। লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেছেন বেশি দিন হয়নি। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করেন তিনি।

মাত্র ৯ মাস হলো বিয়ে করেছেন মামুন। স্ত্রী আখিঁমনির হাতের মেহেদী এখনো শুকায়নি। বাবা মহসিন আলী এবং মা দৌলতুন্নেছার সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় থাকেন তিনি।

সম্প্রতি নরসিংদীতে ডোরেন পাওয়ার প্লান্টের ২২ মেগাওয়াট একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ শুরু করে মামুন। কিন্তু হঠাৎই দুই কিডনিই বিকল হবার দুঃসংবাদে তার জীবনে নেমে আসে কালোছায়া। নতুন চাকরির বেতনের সামান্য অর্থ সব খরচা করে বাংলাদেশের চিকিৎসা শেষে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করেছেন। সেখানকার অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক রাজামহেষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখন আর কিছুই করার নেই কিডনি পরিবর্তন ছাড়া। এখন ১টি হলেও কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য ৩০ লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে। অনেক কষ্ট করে ডায়ালাইসিস করে জীবনমৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন মামুন।

তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চোখের সামনে অকালেই ঝড়ে যাবার উপক্রম একটি মেধাবি তাজা প্রাণ। অথচ তারা কিছুই করতে পারছেন না অর্থাভাবে। মামুনের বাবা মহসিন আলী কান্না কণ্ঠে বলেন জরুরিভাবে কিডনি পরিবর্তন না করলে, অকালেই ঝড়ে যাবে সম্ভাবনাময় একটি তাজা প্রাণ। ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষগুলোর কাছে আকুতি জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা।

আরও বিস্তারিত জানতে কথা বলা যাবে মামুনের (০১৭২২-১০৯৩০১) সঙ্গে।

লিমন বাসার/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।