জামায়াত নেতাকে আ.লীগ হিসেবে প্রত্যয়ন দিলেন আ.লীগ নেতা
তিনটি নাশকতা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জামায়াত নেতাকে মামলার হাত থেকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দেয়ার অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সরদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এ বিষয়ে লিখিতভাবে জানাতে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত সুলতান সরদার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ৯ নং খলিশখালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও টিকারামপুর গ্রামের আক্কাজ সরদারের ছেলে।
খলিশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাশ জানান, খলিশখালী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও ইসলামকাটি মাদরাসার সুপার আব্দুল মজিদ তিনটি নাশকতা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। এই নাশকতা মামলা থেকে রক্ষা করতে মাদরাসা সুপার আব্দুল মজিদকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন দিয়েছেন সুলতান সরদার। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রোববার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলীয় পদ ও সদস্য পদ থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানাতে আগামী সাত দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গণেশ চন্দ্র বর্মন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেয়া আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নের কপি ও নাশকতা মামলার কপিসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগে করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাস্টার সুনীল দে, সহ-সাধারণ সম্পাদক সরদার শরিফুল ইসলাম ও সদস্য আকবর আলীকে দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত টিম লিখিতভাবে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করলে তাকে সর্ব সম্মতিক্রমে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা ও একটি বোমা হামলার মামলা রয়েছে। চরমপন্থী কানেকশনে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়ে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন সুলতান সরদার। এরপর ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ