শিক্ষকের অত্যাচারে শিকল নিয়ে পালাল ছাত্র
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ইব্রাহীম নামে ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রের পায়ের সঙ্গে গলায় শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করেছেন মাদরাসার শিক্ষক।
তালতলীর অংকুজানপাড়ায় কারিমিয়া হাবিবিয়া মাদরাসায় ঘটেছে এমন ঘটনা। শিক্ষকের এমন নিষ্ঠুর নির্যাতন থেকে বাঁচতে শিকলবদ্ধ অবস্থায় ইব্রাহীম মাদরাসা থেকে পালালে তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের নাম হাফেজ মো. ফোরকান হাওলাদার। সাংবাদিকদের কাছে খবর পেয়ে এই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। নির্যাতিত ছাত্র ইব্রাহীম অংকুজানপাড়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অংকুজানপাড়ায় কারিমিয়া হাবিবিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের শাসনের নামে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান মাদরাসার শিক্ষকরা। লেখাপড়ার নামে শিক্ষকদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ অধিকাংশ ছাত্রই পালিয়ে বেড়ায়। শিক্ষকদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে বার বার মাদরাসা পালানোর অভিযোগে ইব্রাহীমকে পায়ের সঙ্গে গলায় শিকল দিয়ে মাদরাসার একটি কক্ষে তিনদিন ধরে বন্দি করে রাখেন শিক্ষক মো. ফোরকান হাওলাদার। পরে শিক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদরাসা থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় শিশুটি।
এদিকে, রোববার রাতে সাংবাদিকদের কাছে খবর পেয়ে মাদরাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মো. ফোরকান হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্র ইব্রাহীমের নানি তালতলী থানায় মামলা করলে সোমবার দুপুরে শিক্ষক হাফেজ মো. ফোরকান হাওলাদারকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে অংকুজানপাড়া কারিমিয়া হাবিবিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আফজাল হোসেন ঘরামীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র হালদার বলেন, নির্যাতিত শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/পিআর