৩১ আগস্ট পাওয়া যাবে ফজলে মুন্সির সেই মহৌষধ
হাঁপানি ও অ্যাজমা রোগীদের জন্য গাজীপুরে পাওয়া যাবে মহৌষধ। প্রতিবছর একবার মাত্র মিলবে এ ওষুধ।
হাঁপানি ও অ্যাজমা থেকে চিরমুক্তি পেতে একাধারে তিন বছরে তিনবার এ ওষুধটি খেতে হবে খালি পেটে। কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সারাজীবনের জন্য হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা থেকে মুক্তিলাভ হবে বলে জানিয়েছেন ওষুধ বিতরণকারীগণ।
জানা গেছে, প্রায় শত বছর আগে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের আমুনা গ্রামের ফজলে মুন্সি স্বপ্নযোগে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা রোগের ওষুধটি পান। এরপর তিনি এটি গ্রামের মানুষের মাঝে বিতরণ করতে থাকেন। রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ায় এ ওষুধের কথা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামে। বর্তমানে এ ওষুধের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে এটি বিতরণ করা হয়। লক্ষাধিক লোক প্রতিবছর এ ওষুধটি নিতে গাজীপুরের আমুনা গ্রামে এসে ভিড় করেন। এ বছর ৩১ আগস্ট সোমবার বাদ ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এ ওষুধটি বিতরণ করা হবে।
আমুনা গ্রামের ফজলে মুন্সির ইন্তেকালের পর নাতি সিরাজ মুন্সি ও আঃ মোতালেব উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে এটি বিতরণ করছেন।
আঃ মোতালেব জানান, দাদা ফজলে মুন্সি স্বপ্নযোগে এ ওষুধটি পেয়েছিলেন। তার দেখানো পথ অনুসরণ করে তার মৃত্যুর পর আমরা দুই ভাই এ ওষুধটি বিতরণ করে আসছি। দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভারত থেকে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের রোগীরা আসছেন ওষুধটি খেতে। অনেকে ভিড় এড়াতে দু -একদিন আগেই চলে আসেন গাজীপুরে।
তিনি জানান, টানা তিন বছরে তিনবার খালি পেটে ওষুধটি খেতে হয়। ওষুধটি খাবার পর হাঁস, মুরগীর মাংস ও ডিম খাওয়া যাবে না তিন মাস, তেঁতুলের টক খাওয়া যাবেনা ৭ দিন আর সাগর কলা খাওয়া যাবে না সাড়ে চার বছর। এ নিয়মগুলো মেনে চললে আল্লাহর রহমতে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি থেকে চির মুক্তি পাওয়া যাবে। এ ওষুধটি বিতরণের সময় সামান্য হাদিয়া নেয়া হয়। কারণ এর কিছু উপকরণ বাজার থেকে কিনে আনতে হয়।
কীভাবে যাবেন : যেকোনো প্রাইভেটকার, টেম্পু, স্কুটার বা অটোরিকশায় করে গাজীপুর জেলা শহর থেকে পূর্ব দিকে হাড়িনাল বাজার হয়ে উত্তর দিকে আমুনা গ্রামে যাওয়া যাবে। এ দিনটিতে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আমুনা গ্রামে যাওয়ার জন্য জয়দেবপুর শহরের প্রস্তুত থাকে। আমুনা গ্রামে গিয়েই মিলবে ফজলে মুন্সির বাড়ি। যেখানে বাদ ফজর থেকে এ মহৌষধটি বিতরণ করা হবে।
আমিনুল ইসলাম/এমএএস/এমআরআই