ছাত্রলীগ নেতার রিমান্ড ঠেকাতে আদালতে ৬০ আইনজীবী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯

নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারুল ইসলামের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রলীগ নেতা আল মাহমুদ আদরের (২৩) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার দুপুরে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬০ জন আইনজীবী আসামির পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে রিমান্ডের বিরোধীতা করে জামিন আবেদন করেন।

এ সময় রিমান্ডের পক্ষে ও জামিনের বিরোধীতা করে তাদের রোষানলে পড়েন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাহমিনা ইয়াসমিন রত্না। ফলে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় উত্তেজিত আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট রত্নাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

রিমান্ডের আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারুল ইসলামের ওপর ‘ময়লা’ হামলার মামলা তদন্তকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ৭ মার্চ আল মাহমুদ আদরকে গ্রেফতার করা হয়।

ইতোপূর্বে মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি মিনহাজ আহম্মেদ ফাহিম ও মোবারক হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আল মাহমুদ আদরের নাম প্রকাশ করেছেন।

তা যাচাই-বাছাই করে আদরকে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। তার উপস্থিতি ও নেতৃত্বে ঘটনাটি সংঘটিত হয়। আদর এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়।

ওসি আরও উল্লেখ করেছেন, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আদর ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রকাশ করলেও ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এলোমেলো কথাবার্তা বলে এড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতে আসামি আদরের পক্ষে শুনানিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাজাহান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান তারেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের টিটুসহ ৬০ জন আইনজীবী অংশ নেন। তারা রিমান্ডের বিরোধীতা করে জামিন আবেদন করেন।

অপরদিকে, বাদীপক্ষ কোনো আইনজীবী নিয়োগ না দেয়ায় আদালতের সিএসআই রিমান্ডের আবেদনে অংশ নেন। তার সঙ্গে শুনানিতে অংশ নেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাহমিনা ইয়াসমিন রত্না।

আদালতে তাহমিনা ইয়াসমিন রত্না বলেন, আসামিরা শক্তিশালী একটি চক্র। শুধু অধ্যক্ষকে অপমান করা হয়েছে তা নয়, এর আগেও নরসিংদীতে একই ধরনের অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই না নরসিংদীতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটুক। রিমান্ড মঞ্জুর করলে এ ঘটনার পেছনের হোতা কে তা বেরিয়ে আসবে। এরই প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ফলে উত্তেজিত আইনজীবীরা আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তাহলে প্রশ্ন থাকে এ ঘটনার নেপথ্যের গডফাদার কে?

সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।