তাদের মায়ের পাশে কি কেউ দাঁড়াবে?
৬ বছর বয়সী মেয়ে ও দেড় বছরের ছেলের জন্য আরও কিছুদিন বাঁচতে চান তাদের অসুস্থ মা পারুল বেগম। গত ৫ বছর ধরে তার রোগের সঠিক চিকিৎসা না হওয়ায় দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী এই নারী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 'মেনিংগো এনসেফালাইজিজ' নামক রোগে আক্রান্ত পারুল। কিন্তু চিকিৎসা থমকে গেছে টাকার কাছে।
এর আগে খিঁচুনিসহ নানান সমস্যায় আক্রান্ত ছিল পারুল। ওই সময় প্রাথমিকভাবে উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এরপর ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসা হয়। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে অপারেশনও হয় পারুলের। এর কিছুদিন পরেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পরেই সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন পারুল। এরপর থেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে তার তীব্র জ্বরের পাশাপাশি নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। এতে কখনও জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি, কখনও আবার মানসিক রোগীর মতো আচরণ করছেন।
পারুলের স্বামী মামুন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী গ্রামের বাজারে একটি চায়ের দোকান করেন।
তিনি জানান, গ্রামের দোকানে কত আর বিক্রি হয়? দোকানের যা টাকা ছিল সব টাকা দিয়ে পারুলের চিকিৎসা করেছি কিন্তু তাকে সুস্থ করে তুলতে পারছি না। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক ধার-দেনাও করতে হয়েছে। গ্রামে সামান্য জমি ছিল সেটাও বিক্রি করেছি। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছি না তার। স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে গিয়ে স্বামী মামুন এখন নিঃস্ব।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে চিকিৎসা বন্ধ থাকায় পারুলের শরীর এখন অনেকটা প্যারালাইজড রোগীর মতো হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় অসুস্থ স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়েছে পড়েছেন স্বামী মামুন। তিনি স্ত্রীকে বাঁচাতে হৃদয়বান মানুষগুলোর কাছে সহায়তা কামনা করেছেন।
পারুল বেগমের বর্তমান অবস্থা জানতে কথা বলা যাবে তার স্বামী মামুনের ০১৮২৩৮৩৪৫০৪ সঙ্গে।
এমএএস/পিআর