ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শিক্ষার্থীদের অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আধা ঘণ্টার মধ্যে হল ত্যাগে বাধ্য করে। কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অমলেন্দু ঘোষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি (অনুষদ) হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার থেকে কলেজের প্রধান ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোসহ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চালিয়ে আসছিল সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ।
টানা তিন দিনের কর্মসূচীর পর আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাস ও হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে পুলিশ অবস্থান নেয়। পুলিশ হলে হলে গিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বের হওয়ার জন্য আধা ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। এর আগে পুলিশ ক্যাম্পাসের মসজিদ থেকে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলে। হঠাৎ এমন নির্দেশে বিপাকে পড়ে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
তবে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে হল ছেড়ে যেতে অনিহা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা পুলিশ ও শিক্ষকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে এই প্রতিবেদক পৌঁছালে পুলিশ ছবি ও ভিডিও করতে বাধা দেয়।
ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অমলেন্দু ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুষদের মূল দাবি যৌক্তিক। দাবিগুলো মানার জন্য ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী প্রণব সাহা জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি (অনুষদ) হিসেবে ঘোষণা না দেয়ায় তাদের মূল শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ইসরাত জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, হঠাৎ আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা ও ছুটি দেয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএআর/পিআর