বরিশালে এলপিজি গ্যাস নিয়ে টনক নড়েছে প্রশাসনের
বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বাজার এলাকা ও সড়কের বিভিন্ন মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিক্রি করছেন এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার। নগরীর মুদি, মনিহারি, স্টেশনারি এমনকি চায়ের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার। এতে করে ভয়াবহ বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
তবে ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর টনক নড়েছে জেলা প্রশাসনের। লাইসেন্স ব্যতীত যত্রতত্র এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার নগরীর বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় এলপিজি গ্যাস মজুদ ও বিক্রির দায়ে মো. সোহরাব হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোহরাব হোসেন নগরীর বগুড়া সড়কের মুন্সির গ্রেজ এলাকায় মেসার্স রহমতউল্লাহ ব্রাদার্সের মালিক।
এছাড়া এলপিজি সিলিন্ডার দিয়ে ইজিবাইক চালানোর দায়ে ৬ চালককে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী জানান, রহমতউল্লাহ ব্রাদার্স নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে বিপুল সংখ্যক এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার মজুদ ছিল। এলপিজি গ্যাস মজুদ ও বিক্রির জন্য বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্স ছিল না। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. সোহরাব হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার চালিত ৬ ইজিবাইক চালককে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তী জানান, ইজিবাইকে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ থেকে দুর্ঘটনায় যাত্রীরা হতাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাদেরকে সতর্কও করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এফএ/এমএস