আদালতে অসুস্থ সাবেক এমপি রানা, হাসপাতালে ভর্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরে উচ্চ রক্তচাপ জনিতকারণে রানা অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, দুপুরে সাবেক এমপি রানাকে উচ্চ রক্তচাপ, বুক ব্যাথা আর ডায়াবেটিক সমস্যাজনিত কারণে পুলিশ হাসপাতালে আনে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ভিআইপি ক্যাবিনে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার রক্তচাপ ওঠানামা করছে। বুকে ব্যাথা ও ডায়াবেটিক সমস্যাটা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় হলে তাকে ঢাকা অথবা অন্যত্র পাঠানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেই অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১১টা ২০ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার সাক্ষী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন সাক্ষ্য দেন। পরে বিচারক আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে আদালতে মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলো।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।