সম্মিলিত উদ্যোগে পাহাড়-কাটা রোধ সম্ভব


প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৫

পরিকল্পিত উন্নয়ন ও সম্মিলিত উদ্যোগে কক্সবাজারে পাহাড় কাটা রোধ করা সম্ভব। ইতোপূর্বে যেসব পাহাড় কাটা হয়েছে সেখানে বনায়নসহ পরিবেশবান্ধব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ধ্বংস হওয়া প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি ও জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালাতে হবে। এর জন্য দরকার সামাজিক আন্দোলন এবং গণসচেতনতা।

‘কক্সবাজারে পাহাড়-কাটা, ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক এসব মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবেশ অধিদফতর ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

সভায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আবাসনের নামে উত্তরণ গৃহায়ন সমিতি ও ৫১ একর প্রকল্পের নামে নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিষয়টিও একাধিক জনের বক্তব্যে উঠে আসে।

পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে  বৈঠক উদ্বোধন করেন প্রধান আলোচক জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।

"
উদ্ভোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, চারিদিকে অবিরত পাহাড়কাটা চলছে। হুমকিতে পড়েছে পরিবেশ ও বসতি। এতে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী লোকজন। তাই পাহাড়াকাটা বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাহাড়খেকোদের সবাই চেনেন। তারা আমাদের চেয়ে একটু চালাক-চতুর। কিছু স্বার্থান্বেষী লোক তাদের সঙ্গে রয়েছে। তবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

পরিবেশ বিধংসী এ কাজ বন্ধে সবার আন্তরিকতা দরকার। তবে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো শাস্তি না হওয়ায় পাহাড়কাটা রোধ সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।