তর্ক করায় পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করলেন দুই শিক্ষক
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা না দেয়ায় এখলাস হোসেন (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করেছেন দুই শিক্ষক।
তারা হলেন- রূপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাসেদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রের ফুফু হাসিনা খাতুন বলেন, রূপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এখলাস হোসেন এবার ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার সে ইনকোর্স ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা স্বাক্ষর করিয়ে নিতে নিজ বিদ্যালয়ে যায়। ওই সময় ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা টাকা ছাড়া স্বাক্ষর না করাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের সঙ্গে তর্ক করে এখলাস। একপর্য়ায়ে শিক্ষক রাসেদুল ইসলাম ও আবু সাঈদ এখলাসকে বেধড়ক পেটান। ওই সময় তাকে টেনেহিঁচড়ে বিদ্যালয়ের দোতলায় তুলে নিয়ে যান দুই শিক্ষক। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে আবার পেটানো হয়। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এখলাস।
ফুফু হাসিনা খাতুন আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এখলাসকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুদুর রহমানের কাছে নিয়ে যাই এবং তার কাছে অভিযোগ দেই। পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখলাসকে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে রূপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিষয়ে ওই ছাত্র শিক্ষকদের ওপর চড়াও হলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুদুর রহমান বলেন, ওই ছাত্র ও তার অভিভাবক আমার কাছে এসে অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এরপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একে জামান/এএম/জেআইএম