হত্যার পর স্ত্রীর লাশ শ্বশুরবাড়ি পাঠালেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেবের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লিপি রাণী দেবকে (৩৮) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। লিপির মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
লিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরের দত্তপাড়া মহল্লার তুলশি রঞ্জন দেবের মেয়ে।
লিপির স্বজনদের অভিযোগ, লিপির স্বামী মানিকই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ঘটনা কাউকে না জানিয়ে মরদেহ এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে নাসিরনগরে পাঠিয়েছে মানিক।
লিপির পরিবারের লোকজন বলেন, ১২ বছর আগে অষ্টগ্রাম উপজেলার দুর্গামোহন দেবের ছেলে মানিকের সঙ্গে লিপির বিয়ে হয়। তাদের মগ্ন কুমার দেব নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির রাস্তা নিয়ে মানিকের বোনদের সঙ্গে লিপির ঝগড়া হয়। এ নিয়ে মানিক বোনদের পক্ষ নেন। এক পর্যায়ে লিপির গলা চেপে ধরেন মানিক। এতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত লিপির বড় ভাই চন্দন দেব অভিযোগ করে বলেন, মানিক প্রায়ই পারিবারিক কলহ নিয়ে লিপিকে মারধর করতো। শুক্রবার বিকেলে তাকে হত্যা করে স্পিডবোটে করে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে মরদেহ নাসিরনগরে পাঠিয়েছে সে।
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মানিক কুমার দেবের মোবাইলে ফোন করলে তার চাচাতো ভাই বিদ্যুৎ কুমার দেব রিসিভ করেন। তিনি বলেন, মানিক অসুস্থ, লিপিও দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অষ্টগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/এমএস