রাজশাহীতে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির ৫ নেতা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। তবে রাজশাহীর চিত্র ভিন্ন। বিএনপির স্থানীয় নেতারা এ সিদ্ধান্ত মানছেন না। রাজশাহীর তিনটি উপজেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
আগামী ১০ মার্চের নির্বাচনে জেলার আট উপজেলার মধ্যে তিনটিতে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পাঁচ নেতা অংশ নিচ্ছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে তাদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিনজন ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী’ হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রাজশাহীর বাঘায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির সমর্থনে একই পদে নির্বাচন করেছিলেন।
এখানে এবার ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মখলেছুর রহমান মুকুল। এছাড়া মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা মহিলা দলের নেত্রী ফারহানা দিল আফরোজ।
অন্যদিকে বাগমারা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদকের পদেও আছেন। জিয়া বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
এদিকে পুঠিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি নেতা মোখলেসুর রহমান। তিনি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং জেলা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি। এসব প্রার্থীদের মধ্যে বাগামারার জিয়াউর রহমান জিয়া অত্যন্ত গোপনে মনোনয়নপত্র তোলেন এবং জমা দেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। এসব প্রার্থীদের নিয়ে বিব্রত স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কেউই কথা বলতে চাননি। তবে জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছি। দল চাপাচাপি করলে নির্বাচন থেকে সরে যাব।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, দলীয়ভাবে বিএনপি আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। দল থেকে নেতাকর্মীদের সব ধরনের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ যদি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন, তবে দলের হাইকমান্ড এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রে জানাবো।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমকেএইচ