কুমেক হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে গত ২০ দিন ধরে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে অস্ত্রোপচারে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বর্তমানে বিকল্প উপায়ে মিনি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে জরুরি কিছু অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে, যা যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি মেসার্স কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণের পাইলিং কাজের সময় অসাবধানতাবশত অক্সিজেন/নাইট্রাস পাইপ লাইন লিকেজ করে ফেলে। এরপর থেকে পাইপ লাইন মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষকে বার-বার চিঠি দেয়া হলে গত ২০ দিনেও ব্যবস্থা নেয়নি তারা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়- অক্সিজেনের অভাবে যে কোনো সময় অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন বন্ধ থাকায় বাজার থেকে ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয় করে এনে হাসপাতালের বিভিন্ন অপারেশন থিয়েটারে ছোট-খাটো কিছু অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। ফলে সরকারি অর্থ ব্যয় হচ্ছে প্রচুর এবং অক্সিজেন না থাকায় সার্জারি, গাইনি ও অর্থোপেডিকস বিভাগে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারে বিঘ্ন ঘটছে।

সোমবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগীকেই সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগীকে অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় হাসপাতালের শয্যায় দিন গুনতে হচ্ছে বলেও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

রোগীদের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী জানান, রোগীর অপারেশন করতে অক্সিজেন অত্যাবশ্যক। এখন আমরা বিকল্প উপায়ে রোগীদের সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য গণপূর্ত অধিদফতর ও অক্সিজেন সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। লিকেজ মেরামতসহ অক্সিজেন লাইন পুনরায় স্থাপন করতে প্রায় কোটি টাকার প্রয়োজন। আশা করি দ্রুত অক্সিজেনের সমস্যা দূর হবে।

কামাল উদ্দিন/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।