পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি


প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৫

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট আর যাত্রী ভোগান্তি যেন কিছুতেই কমছে না। প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি পারের জন্য ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর যাত্রীবাহী যানবাহন পার হতে পারলেও পণ্যবাহী প্রায় তিনশ ট্রাক আটকা পড়েছে ৪-৫ দিন ধরে। এ অবস্থায় ভোগান্তি কমাতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, তীব্র স্রোতের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে গত এক সপ্তাহ ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহৃত হচ্ছে।  স্রোতের মাত্রা এতটাই বেশি যে পুরো গতিতে চললেও নদী পার হতে একেকটি ফেরির আগের চেয়ে ২/৩ গুণ বেশি সময় লাগছে। আবার স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে প্রায়ই ফেরির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ছে।

এদিকে, শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের অনেক যানবাহন এই ঘাট ব্যবহার করছে। এ কারণে কয়েকদিন ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া উভয় ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রাত-দিন সমান তালে যানবাহন পারাপার করেও কিছুতেই যেন পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারছে না ফেরি কর্তৃপক্ষ। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হলেও পণ্যবাহী ট্রাক গড়ে আটকে আছে ৪ থেকে ৫ দিন ধরে।

বুধবার বেলা ১১ টায়  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পাটুরিয়া প্রান্তে যাত্রীবাহী কোচের দীর্ঘ সারি প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের উপ সাধারণ ব্যবস্থাপক শেখ মোহাম্মদ নাসিম জাগো নিউজকে জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণেই ফেরি পারাপারে তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে ফেরি চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই রুটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে বাধ্য হয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিকল্প রুট হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।