বন্দিদের দেখে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের উদ্বেগ
কক্সবাজার জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার আট গুণ বন্দি থাকার বিষয়টি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
মঙ্গলবার হঠাৎ কক্সবাজার জেলা কারাগার পরিদর্শনে যান কাজী রিয়াজুল হক। এ সময় বন্দিদের খোঁজখবর নেন তিনি। একপর্যায়ে কারাগারে গাদাগাদি অবস্থায় বন্দিদের দেখে এবং বন্দির সংখ্যা জেনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। পরে আবাসন সমস্যা সমাধানে কারা অভ্যন্তরে নির্মাণাধীন ছয় ভবনের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার নির্দেশ দেন রিয়াজুল হক।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা কারাগারে পৌঁছালে জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ, জেলার রীথেশ চাকমা ও ডেপুটি জেলার মনির হোসেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান।
পরিদর্শনকালে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান জেলের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বন্দিদের মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। যাদের মামলা চালানোর সামর্থ্য নেই তাদের লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন।
কারা অভ্যন্তরে পরিপাটি পরিবেশ, দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ছবি, বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজের দৃশ্য এবং শিক্ষণীয় নানা আলপনা, বন্দিদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয়জলের সু-ব্যবস্থা, শিশুপার্ক, নতুন ভবন, রান্নাঘর, পতাকা মঞ্চ ও দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগারসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে কক্সবাজার কারাগার পরিদর্শন করেছিলেন উল্লেখ করে বলেন, তখনকার জেলের চিত্রের সঙ্গে বর্তমান চিত্রের মধ্যে উন্নয়ন ও উন্নতির ধারাবাহিক অগ্রগতি রয়েছে। এটি সন্তোষজনক।
পরিদর্শনকালে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, কাজী আরফান আশিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমএস