১০৬ বিদ্যালয়ের ১০১টিতেই নেই শহীদ মিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১০৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র পাঁচটিতে। এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৮টি, মাদরাসা ১৯টি ও কলেজ রয়েছে ৭টি। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এদিকে এ উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ৪৫টি। কোনো কিন্ডারগার্টেন স্কুলেই শহীদ মিনার নেই।

অথচ সরকারিভাবে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার নির্দেশনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে প্রতিবছর বাঁশ বা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো কোনোটিতে শহীদ মিনারের অভাবে একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজনই হয় না।

ইউসুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অদ্বৈত কুমার সাহা বলেন, বিদ্যালয়ে ১১৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিদ্যালয় চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া দিবসটিতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হোক।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা নন্দীগ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার পাচ্ছি না । ফলে প্রতি বছরই এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় আমাদের।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় ১০৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে শহীদ মিনার রয়েছে। আর অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার নেই।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অবহেলার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে আজও নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার।

লিমন বাসার/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।