ফটোকপি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিল ৭৪ শিক্ষার্থী
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন শেরপুরের শ্রীবরদীতে ৭৪ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় উপজেলার মথুরানাথ বিনোদিনী পাইলট (এমএনবিপি) সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।
শ্রীবরদী উপজেলার বানিবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষার প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা দেখতে পায় তাদের প্রশ্নপত্র ২০১৮ সালের। এতে বিপাকে পড়ে পরীক্ষার্থীরা।
এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপুার মনিরুজ্জামান জানান, বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার ২০০ প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেটের ওপরে লেখা ছিল ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র। কিন্তু ভেতরে কিছু প্রশ্নপত্র ছিল ২০১৮ সালের। এখানে ৭৪ জন শিক্ষার্থীর কাছে এসব প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছিল। এসব প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের নজরে আসে বিষয়টি। পরে কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র ও খাতা ফেরত নিয়ে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে প্রায় এক ঘণ্টা পর পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।
একই পরিস্থিতির শিকার হন উপজেলার টেংগড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা। ওই কেন্দ্রে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে দেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেংপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০/১৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব আবুল খায়ের বলেন, কয়েকটি কক্ষে ভুলবশত ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছিল। পরে উপজো নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের দেয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, হয়তো ভুলবশত এসব প্রশপত্র ২০১৯ সালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে ভরা হয়েছিল।
শ্রীবরদী উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মোশারফ হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেঁজুতি ধর বলেন, ঘটনাটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ২০১৮ সালের ওইসব প্রশ্নপত্র তুলে নিয়ে নিয়ে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে আবার পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এবার শ্রীবরদী উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৯৯৩ জন, দাখিলে ৭৪১ জন ও ভোকেশনালে ৪৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
শেরপুর জেলা প্রশাসনের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রথম দিনে ১২০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে এসএসসিতে ২৯ জন, দাখিলে ৭১ জন ও ভোকেশনালে ২০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
হাকিম বাবুল/আরএআর/জেআইএম