সন্তানের স্বীকৃতি চান এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় সন্তানের পিতৃপরিচয়ের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ধর্ষণের শিকার এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী। এ ঘটনায় মামলার পর ধর্ষক সোহান লস্কর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন।

মেয়েটির বাবা ফজলুল শেখ জানান, তার মেয়ে (৩২) জন্ম থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি দুপুরে সে বাড়ির পাশে একটি মেহগনি বাগানে কাঠ সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে প্রতিবেশী কওসার লস্করের ছেলে সোহান লস্কর (২৫) তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে তার মা সেখানে গেলে এ ঘটনা দেখে ফেলেন। এ সময় সোহান দ্রুত পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে সোহান লস্করের পরিবারের লোকজন বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। তারা সোহানের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। ইতোমধ্যে আমার মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি তাদের জানানোর পর গড়িমসি করে তারা ৬ মাস অতিবাহিত করলে ওই বছরে ১৮ জুন একটি মামলা করা হয়।

গত নভেম্বরে প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা হন। কিন্তু ঘটনার এক বছর পরও তাকে সোহান ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। শিশুটির পিতৃপরিচয়ের জন্য তিনি এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

মেয়েটির বাবা ফজলু বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তার বিচার আমরা চাই। অন্তত আমার মেয়ের গর্ভের শিশুটির পিতৃপরিচয় নিশ্চিতের জন্য আমরা মহামান্য আদালতসহ সকলের সহায়তা চাই।

এ ঘটনায় শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনা তদন্ত করে আমরা ইতোমধ্যে চার্জশিট দিয়েছি। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ঘটনার প্রধান আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে জামিনে আছে।

এ প্রসঙ্গে মাগুরা মহিলা পরিষদের সভাপতি মমতাজ বেগম জানান, ঘটনার পর থেকে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটি ন্যায় বিচারের জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে ধর্না দিয়েছি। এখন আমাদের অন্যতম চাওয়া মেয়েটির গর্ভে যে শিশুটি এসেছে তার যেন যথাযথ পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করা যায়। আদালতের কাছে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আমরা অনুরোধ করছি।

আরাফাত হোসেন/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।