লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় প্রাইভেটকারচালক নাজমুল আহসান হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহে নূর এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহিমের ছেলে কামরুল হাসান রাব্বি, শ্রীরামপুর গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে মো. রুবেল, আবদুল ওয়াদুদের ছেলে মো. মানিক এবং বড়ালিয়া গ্রামের আবদুল হাইর ছেলে মো. রিয়াজ। রায়ের সময় সব আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ জুন ঢাকার উত্তরা থেকে ভুয়া পরিচয় দিয়ে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া নেয় আসামিরা। ওইদিন রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের তোতারখিল এলাকায় এনে গাড়িরচালক নাজমুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তারা গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়। নাজমুল চাপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার হুজাপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন মালুর ছেলে।

এ ঘটনায় ২২ জুন গাড়ির মালিক শাহীন তারেক বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শাহীন ঢাকা দক্ষিণখান এলাকার সিরাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে। পরে চাঁদপুর থেকে ওই গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এর সূত্র ধরে কামরুল ও রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। ওইসময় তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে তারা জামিনে বের হয়।

২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, চালক নাজমুল হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ৪২০ ধারায় আসামিদের আরও পাঁচ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।

কাজল কায়েস/এএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।