রাজন হত্যার আলামত আদালতে জমা


প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৫

সিলেটের শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার ১০টি আলামত সংগ্রহ করে আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার চার্জশিটে এসব আলামতের বিবরণও তুলে ধরেছেন।

চার্জশিটে প্রথম আলামত হিসেবে দেখানো হয়েছে, রাজনকে হত্যা করার পর মরদেহ বহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি। যার রেজিস্ট্রেশন নং মেট্রো-চ-৫৪-০৫১৬, ইঞ্জিন নং-৩৬৮৯১ ও চেসিস নং সিআর-২৭০১০২৯৩২।

দ্বিতীয় আলামত : রাজনের পরিহিত গোলাপী রংয়ের হাফ হাতা গেঞ্জির অংশ বিশেষ এবং কালো রংয়ের ডোরা কাটা হাফ প্যান্টের অংশ বিশেষ।

তৃতীয় আলামত : রাজন হত্যাকারীদের বিচার চাই, ফাঁসি চাই ইত্যাদি লেখা একটি পোস্টার। ওই পোস্টারে রাজনকে যারা হত্যা করেছে তাদের ছবি আছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

চতুর্থ আলামত: ওই আলামতে পাঁচটি ছবির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে খুন হওয়া রাজনের ছবিও রয়েছে। এছাড়াও ময়না মিয়া (ময়না চৌকিদার), দুলাল, কামরুল ও পাবেলের ছবিও রয়েছে।

পঞ্চম আলামত: রাজন হত্যার একটি ভিডিও ফুটেজ।

ষষ্ঠ আলামত: ওই আলামতে যে মোবাইল দিয়ে রাজনের নির্যাতনের চিত্র ধারণ করা হয়েছিল সেটির বিবরণ দেয়া হয়েছে। ওই মোবাইল দিয়ে নূর মিয়া নির্যাতনের চিত্র ধারণ করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সপ্তম আলামত: দুই জিবি মাইক্রো লেখাযুক্ত একটি মেমোরি কার্ড।

অষ্টম আলামত: গ্রামীণফোনের লোগোযুক্ত একটি সিম কার্ড।

নবম আলামত: ৩.৭ ভোল্টের একটি নকিয়া মোবাইলের ব্যাটারি।

সর্বশেষ ১০ নম্বর আলামতে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ সম্বলিত একটি ডিভিডি। যাতে রাজনকে নির্যাতনের এক মিনিট ৫৮ সেকেন্ড ধারণকৃত ভিডিও রের্কড রয়েছে।

জালালাবাদ থানা পুলিশের জিআরও ফরিদ আহমদ চার্জশিটের সঙ্গে ১০টি আলামত সংযুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।