দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সরু চ্যানেল দিয়ে চলছে ফেরি-লঞ্চ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবড়ী
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। এ রুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী নদী পারাপার হয়ে থাকে। ব্যস্ততম এ নৌরুটে বছর জুড়েই নানান সমস্যায় ব্যাহত হয় নৌ চলাচল। ফলে দুর্ভোগে পড়েন নদী পারাপার হতে আসা যাত্রীরা। বর্তমানে এ রুটে দেখা দিয়েছে নাব্য সংকট। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রতি বছরই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের উভয় পাশে ড্রেজিং করতে হয়।

এ বছর ড্রেজিংয়ের জন্য ড্রেজার মেশিন ও আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি যত্রতত্র রাখায় দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তের ফেরি ও লঞ্চ চলাচলের পথ সরু চ্যানেলে পরিণত হয়েছে। ফলে সরু চ্যানেলটি দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ফেরি ও লঞ্চ।

দৌলতদিয়া প্রান্তের নৌ পথটি সরু হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সারেং ও মাস্টাররা সাবধানতা অবলম্বন করে চলাচল করছেন। যার কারণে কিছুটা ধীর গতিতে চলতে হচ্ছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে মাঝে মাঝে যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হতে দেখা যায় এবং ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিএ’র তথ্য মতে, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সাতটি ড্রেজার দিয়ে নদীতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। গত বছরের ২৭ জুন থেকে শুরু হওয়া এই ড্রেজিং চলবে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত।

সরজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিসি নিয়ন্ত্রিত পৃথক পৃথক ৬টি ফেরি ঘাট রয়েছে সেখানে। ঘাটগুলোতে ফেরি ভিড়লে এবং অন্য আরেকটি ফেরি পাশ দিয়ে যেতে চাইলেই চ্যানেলের জায়গার স্বল্পতা দেখা দেয়। সে সময় চ্যানেল দিয়ে চলাচল করা অন্য নৌযানগুলোকে চলতে হয় ধীর গতিতে।

RAJBARI

এদিকে নদীতে নাব্য সংকটের কারণে চলছে ঘাট এলাকায় ড্রেজিং কার্যক্রম। ফলে ড্রেজিং মেশিন ও তার যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে চ্যানেলের পাশেই।

যানবাহনের চালকরা জানান, এ রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ফেরি যদি সঠিকভাবে আর সময় মতো না চলতে পারে তাহলে যানজট লেগেই থাকবে । দৌলতদিয়া প্রান্তে এ সমস্যা সারা বছরের। তাই সমস্যাগুলো সমাধান করতে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তারা অনুরোধ জানান।

ফেরির সারেং ও লঞ্চের মাস্টাররা জানান, প্রতি বছরই নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয় আর প্রতি বছরই করা হয় ড্রেজিং। কিন্তু এ বছর নৌপথ সরু হয়ে গিয়েছে। সাবধানতার সঙ্গে তারা চলাচল করছেন। একটি ফেরি ঘাটে ভিড়লে পাশ দিয়ে আরেকটি ফেরি বা লঞ্চ যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরে ধীরে যেতে হয়। নাব্য ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুয়ায়ী করা ও চ্যালেনটি আরও প্রশস্ত করার অনুরোধ জানান তারা।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ড্রেজিংয়ের কারণে ফেরি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ঘাটে ভিড়তে যখন ফেরিগুলো চ্যানেলের মুখে ঢোকে তখন ঝুঁকি দেখা দেয়। এ সময় ফেরিগুলো সাবধানে চলাচল করে বা থেমে থাকে। এ জন্য ড্রেজিংয়ের চ্যানেলটা প্রশস্ত হওয়া প্রয়োজন।

রুবেলুর রহমান/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।