অফিস সহকারী পদের জন্য ৮ লাখ টাকা!
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চর মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী (কাম কম্পিউটার অপারেটর) নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিয়োগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, চর মহেষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (কাম কম্পিউটার অপারেটর) পদ শূন্য হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই দৈনিক সমকাল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ১১ জন প্রার্থী ওই পদের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে ২ জন বাদ পড়েন। পরে ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও আর্থিক চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পরীক্ষা হয়। লিখিত ও সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ৯ জনের মধ্যে তিনি (সাইফুল ইসলাম) সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও তাকে মৌখিক পরীক্ষায় কম নম্বর দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পছন্দের প্রার্থী অর্ঘ কুমার মণ্ডলকে প্রথম দেখিয়ে নিয়োগ দেন।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অপর প্রার্থী বিপ্লব কুমার মল্লিক জানান, সভাপতির আত্মীয় পরিচয়ে সনৎ কুমার তাকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরি না হওয়ার তিনি সে টাকা দিয়ে দিয়েছেন। কিছু টাকা সভাপতির কাছে থাকায় তিনি কয়েক দিনের সময় চেয়েছেন ফেরত দেয়ার জন্য।
জানা গেছে, পরীক্ষায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি ও মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মর্কতা শরীফ মো. মোর্তজা আহসান, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা. অমরেন্দ্রনাথ দেউরি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডল ও পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে (তিন স্কুল পরের প্রধান শিক্ষক) আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা ফয়জুর রহমান লাবু।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব জীবন কুমার মণ্ডল বলেন, সকল আইন মেনেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বঞ্চিতরা বদনাম করতেই পারে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. অমরেন্দ্রনাথ দেউড়ি জানান, এগুলো অপপ্রচার হচ্ছে। তবে সনৎ কুমার যে চাকরি দিতে চেয়ে টাকা নিয়েছিল তা তিনি শুনেছেন এবং সে টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন।
আরাফাত হোসেন/এফএ/পিআর