শরীয়তপুরে সড়ক পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বিভাগের সড়ক পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজের মান খারাপ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

ডামুড্যা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগেরপাড়া ভায়া চরপাতালিয়া মুন্সির হাট পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও চওড়া ৩ দশমিক ৭ মিটার সড়ক পাকাকরণ কাজ এলজিইডি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়ন করছে প্রিন্স ট্রেডিং নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়ক পাকাকরণ কাজে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। ৫ হাজার ৯৬০ মিটার সড়কের মধ্যে এক হাজার ২০০ মিটার কার্পেটিং হবে, বাকিটা ১২ মি. মি. করে সিলকোট হবে।

Shariatpur-LGED-Sarak-(2)

কিন্তু ১২ মি. মি. সিলকোট হওয়ার কথা থাকলেও ৪ মি. কমিয়ে ৮ মি. মি. সিলকোট করে সড়ক পাকা করা হচ্ছে। ফলে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে পুনরায় কাজ বাস্তবায়নের দাবি তাদের।

এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার এই সড়কের কাজে অনিয়ম করছেন। সড়কের গর্তগুলোর মধ্যে দুই নম্বর ইটের সুরকি দিচ্ছে। পাশাপাশি গুঁড়ি পাথর দিয়ে সড়কে যে ঢালাই দিয়ে যাচ্ছে, তা পা দিয়ে আঁচড় কাটলে উঠে যাচ্ছে। তাই পুনরায় সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করা হোক।

এলজিইডি বিভাগের পক্ষ থেকে কাজে দায়িত্বরত ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সামসুল আলম বলেন, আমি যখন থাকি তখন কাজ ঠিক মতো হয়। কাজের অনিয়ম আমার চোখে পড়েনি।

Shariatpur-LGED-Sarak-(3)

এ বিষয়ে ঠিকাদার মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, সিলকোট যত মি. মি. দেয়ার কথা ততটুকু দিচ্ছি। কাজের মান খারাপ হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের কাজ খারাপ হচ্ছে না।

এলজিইডি ডামুড্যা উপজেলা প্রকৌশলী হাসান ইবনে মিজান বলেন, কাজ খারাপ হওয়ার কথা নয়। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি। কাজ শেষ হলে প্রতি ৫০ মিটার পর পর গর্ত করে সড়কের কাজ ঠিক হচ্ছে কিনা দেখা হবে। দরপত্রে উল্লেখ রয়েছে ১২ মি. মি. সিলকোট হবে। যদি তারা কম দিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি আমি দেখব।

মো. ছগির হোসেন/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।