মেম্বারের লোক আটক করায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবক। সংঘর্ষের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরিস্থিতি এখন থমথমে।
শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম আশিকুর রহমান (২৫)। তিনি বন্দর উপজেলার মদনপুরের চানপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। আশিকুর রহমান মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্টের শ্রমিক ছিলেন।
গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম বাবু। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় মদনপুর এলাকার ড্রিমল্যান্ড নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নূরনবী ও রিফাত নামের দুজন যুবককে আটক করা হয়। তারা মূলত খলিল মেম্বারের লোক। এ খবর স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খলিল মেম্বারের লোকজন এসে পুলিশকে ঘিরে রাখে। তারা আটক দুইজনকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
ওই সময় স্থানীয় প্রভাবশালী আমির হোসেনের লোকজন পুলিশের পক্ষ নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৭টায় মদনপুর এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজন পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ পাল্টা অ্যাকশনে যায়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশি বাঁধায় আটকদের আর ছাড়ানো সম্ভব হয়নি।
তবে কী অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
সংঘর্ষে এসআই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ মোহনসহ পুলিশের চারজন আহত হন। এ ছাড়া স্থানীয় অন্তত আরও ৪০ থেকে থেকে ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের পর এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আছে। কেউ মারা গেছে কি না বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
জেডএ