চিকিৎসকের ছুরিতে কেটে গেল নবজাতকের মাথা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

সিলেটের একটি ক্লিনিকে সিজার অপারেশন করতে গিয়ে মায়ের পেটে থাকতেই ভুল করে এক নবজাতকের মাথা কেটে ফেলেছেন চিকিৎসক। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় এই নবজাতককে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের নবাব রোডে নিরাময় পলি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত নবজাতক সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার শালুটিকরের লামাপাড়া গ্রামের মো. জহিরুল হক ও রাশেদা বেগমের সন্তান। রাশেদা বেগম বর্তমানে নিরাময় ক্লিনিকের তৃতীয় তলার একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে নিরাময় পলি ক্লিনিকের ম্যানেজার পারভেজ আহমদ বলেন, বাড়িতে থাকতেই রোগীর স্বজনরা বাচ্চা প্রসব করানোর চেষ্টা করেছেন। এতেই বাচ্চা আহত হয়েছে। অনেক অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে আমরা সিজার করিয়েছি। চিকিৎসকের কোনো ভুল হওয়ার কথা নয়।

ক্লিনিকের ম্যানেজারের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নবজাতকের মামা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাসায় বাচ্চা প্রসব করানোর কোনো চেষ্টাই করা হয়নি। ম্যানেজার নিজের ক্লিনিককে রক্ষায় মিথ্যা বলছেন। এখানকার চিকিৎসকই নবজাতকের মাথা কেটেছেন অপারেশন করতে গিয়ে।

প্রসূতি রাশেদা বেগমের ভাই মো. জসিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাশেদার প্রসব ব্যথা শুরু হলে তারা তাকে সিলেটে নিয়ে আসেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা রাশেদাকে নগরের নবাব রোডস্থ নিরাময় পলি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শে রাশেদাকে সিজার করানোর সিদ্ধান্ত নেন তারা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক শায়লা বেগম সিজার করেন। সিজার শেষে বাচ্চাকে দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানা বাহানা করে। পরে রাত ১টার দিকে বাচ্চাকে আমাদের কাছে দিলে আমরা দেখতে পাই বাচ্চার মাথার পেছনের দিক কেটে গেছে। সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায়ই তারা বাচ্চাকে আমাদের কাছে এনে দেয়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চার চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে না পারলে আমরা তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। বর্তমানে নবহাতক ওসমানী হাসপাতে চিকিৎসাধীন আছে।

ছামির মাহমুদ/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।