আসল ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন রেজা কিবরিয়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

নিজ এলাকায় ফিরেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। শুক্রবার সকালে তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জালাসাপ গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছান।

সেখানে এলাকার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। এ সময় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। রেজা কিবরিয়া উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।

এ সময় রেজা কিবরিয়া বলেন, এটি আসল ভোট নয়। ভোট ডাকাতি করে তারা (আওয়ামী লীগ) জয় পেয়েছে। আমি জানি তাদের মাঝে কোনো তৃপ্তি নেই। কারণ ডাকাতির মাধ্যমে কোনো কিছু অর্জনে তৃপ্তি থাকে না। ভোটাররা যেভাবে ভয়ভীতি, গ্রেফতার আতঙ্ক, মামলা-হামলা সব উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে ছুটে গিয়েছিলেন, যদি তারা ভোট দিতে পারতেন তবে তাদের (আওয়ামী লীগের) এমন ভরাডুবি হতো যা কল্পনাও করা যেত না। এবার আসল ভোটের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, এখন প্রমাণিত হয়ে গেছে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ সরকার এটি সবার কাছে প্রমাণ করেছে। তারা জোর গলায় বাইরে অনেক কিছুই বলে। কিন্তু ঘরে যখন যায় তখন তারা ঠিকই ভাবে কী লজ্জাজনক একটি কাজ করেছে।

Habigonj

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দল ছিল, যে দলটি এক সময় মানুষের মুক্তির জন্যে, ভোটের অধিকারের জন্যে সংগ্রাম করেছে। তাদের ডাকে এদেশের প্রতিটি মানুষ প্রাণ দিতে রাজি ছিল। আর এখন এ আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে।

এলাকার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, সবাই নিরাপদ থাকবেন। কারও সঙ্গে কোনো ধরণের বিবাদে জড়াবেন না। যখনই আসল নির্বাচনের ডাক আসবে তখন সবাইকে থাকতে হবে। তখন কোনো ভয়ভীতি থাকবে না।

সকালে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে পৌঁছানোর খবর পেয়ে তার নির্বাচনী এলাকা নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।