অপরাধ করে উল্টো অর্থ দাবি!
লক্ষ্মীপুরে সাদ্দাম হোসেন (২৫) নামে এক ইলেক্ট্রিশিয়ানের বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অনৈতিক কর্মকাণ্ডে হাতেনাতে ধরা পড়া যুবক-যুবতীদের উৎসুক লোকজনের সঙ্গে দেখতে গিয়ে মামলার আসামি হন ওই যুবক। মামলার পর বাদী সাদ্দামের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। তা না দিলে যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
বর্তমানে পুলিশি হয়রানিসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো যুবকের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাগবাড়ীতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিকার চেয়ে এসব তথ্য জানান সাদ্দাম হোসেনের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সার্জন সৈয়দ আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত বছরের ২৭ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের দলিল উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক এলাকার একটি বাসা থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় সেলিনা আক্তার ও ফারুক হোসেন নামে দুইজনকে হাতে নাতে আটক করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে উৎসুক জনতার সঙ্গে সাদ্দাম ঘটনাস্থলে যান। পরে আটক সেলিনা ঘটনার তিনদিন পর সাদ্দামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করে ধর্ষণের চেষ্টা ও ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগ এনে নারী নির্যাতন মামলা করেন। বর্তমানে ওই মামলায় সাদ্দামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
মামলার পর সাদ্দামের কাছে সেলিনা দুই লাখ টাকা দাবি করেন। তা না দিলে যাবজ্জীবন কারাভোগের হুমকি দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ওই সাবেক সেনা সদস্য।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নারী নেত্রী পরিচয়দানকারী সেলিনা আক্তার বিভিন্ন যুবকদের টার্গেট করে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাদ্দামের মা ফজিলাতুন নেছা, স্বজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মো. বাহার উদ্দিনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
কাজল কায়েস/এমজেড/পিআর