নোয়াখালীতে সেই রুহুল আমিনসহ আরও দু’জন গ্রেফতার
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলীতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় মামলার এজাহারভুক্ত আরও এক আসামি বেচুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীপ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার এওজাবালিয়া ইউনিয়নের একটি হাঁস-মুরগির খামার থেকে বুধবার দিবাগত রাতে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সেনবাগের একটি ইটভাটা থেকে এজাহারভুক্ত আসামি বেচুকে গ্রেফতার করা হয়।
শুরু থেকে এ ঘটনার পেছনে চরজুবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রহুল আমিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে বাদ দিয়ে সোহেলকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় চরজাব্বার থানায়। এ নিয়ে সামজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ বিষয়ে পুলিশের শুরু থেকে বক্তব্য ছিল তাকে যেহেতু আসামি করা হয়নি সেহেতু তাকে গ্রেফতারের সুযোগ নেই।
এদিকে বুধবার বিকেলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন।
পরবর্তীতে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের জানান, অপরাধী যত বড় নেতা হোক না কেন অথবা শক্তিশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা তাদের একমাত্র কাজ।
এ সময় আলোচিত রুহুল আমিন মেম্বারের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তদন্তে যদি তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে এজাহারের বাইরেও তাকে আসামি করে গ্রেফতার করা হবে।
ডিআইজির এ কথার পরপরই রাতেই পুলিশ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নির্যাতিতা ওই নারীর সঙ্গে কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধেরে রুহুল আমিনের নির্দেশে ১০ থেকে ১২ জন তার বাড়িতে গিয়ে স্বামী-সন্তাদের বেঁধে তাকে গণর্ধষণ ও মারধর করে।
মিজানুর রহমান/এফএ/পিআর