গৃহবধূকে গণধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বুড়িরচর উপজেলার মহেশপুরের একটি ইটভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সোহেল চরজুবলী ইউনিয়ন মধ্যবাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি স্বপনকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এজাহারভুক্ত ছয় নম্বর আসামি বাসু ওরফে বাদশা আলমকে চরজব্বার থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ঘ্টনার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরিফ বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। আসামিদের গ্রেফতারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেত্বত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বেশ কয়েকটি টিম ভাগ হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। আসামিদের ধরার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর সকালে নির্যাতিত গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় তারা তাকে ‘তোর কপালে শনি আছে’ বলে হুমকি দেয়। পরে কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান গৃহবধূ।
এরপর রোববার রাত ১২টার দিকে একই এলাকার ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে বসতঘর ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
একপর্যায়ে তারা তাকে গলা কেটে হত্যার করতে উদ্যত হয়। এ সময় প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির উঠান সংলগ্ন পুকুর ঘাটে ফেলে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় সোমবার রাত ৯টায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মিজানুর রহমান/এএম/জেআইএম