পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে তীব্র যানজট


প্রকাশিত: ০৪:৪৯ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌ-রুটে ফেরি বন্ধের প্রভাব পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে। ওই রুটের অনেক যানবাহন এ ঘাট ব্যবহার করায় শনিবার রাত থেকেই গাড়ির চাপ বেড়েছে। এছাড়া নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে পারাপারে সময় বেশি লাগায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। ফলে উভয় ঘাটেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। আটকা পড়া যানবাহনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে নৌ-পথে প্রচণ্ড স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে সময় বেশি লাগছে। ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ায় কদিন ধরেই যানবাহন পারাপার ব্যহত হচ্ছিল। এর সঙ্গে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় ওই রুটের অনেক যানবাহন এ ঘাট ব্যবহার করছে। ফলে দুই পাড়েই যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

কয়েকজন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বর্তমানে ফেরি পার হতে একেকটি যানবাহনকে ঘাটে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘণ্টা নদী পার হওয়ায় অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের যাত্রীরা শিকার হচ্ছেন চরম দুর্ভোগের। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। যানজটকে পুঁজি করে ঘাটের হোটেল রেঁস্তোরায়ও খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

এদিকে শনিবার রাত থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুধুমাত্র পাটুরিয়া প্রান্তেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি চার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। পাটুরিয়া ঘাটের দুটি টার্মিনাল পরিপূর্ণ ছিল পণ্যবাহী ট্রাকে।

বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান,পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে বর্তমানে ছোট বড় ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। দু’একদিনের মধ্যে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি রুট থেকে আরো দুটি ফেরি এ বহরে যোগ হবে। নদীতে তীব্র স্রোত ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরি পার হতে সময় বেশি লাগছে। তবে পারাপারের ক্ষেত্রে ছোট গাড়ি ও যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।