২০০২ সালে ফল পাল্টে মেয়র হয়েছিলেন মিনু : বাদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

আগামী পাঁচ বছরে রাজশাহী নগরীকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

সোমবার দুপুরে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা টানা তৃতীয় বারেরমত এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাদশার বাক্সে পড়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫৩ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের মিজানুর রহমান মিনু পেয়েছেন এক লাখ ৩ হাজার ৩২৭ ভোট। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিনুকে হারিয়ে প্রথমবারের মত নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাদশা।

বাদশা তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, এক দশকে তিনি এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। বিভিন্ন কাজ চলমান। তিনি চলমান ও অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে চান।

বাদশা বলেন, আমরা তরুণ সমাজের প্রযুক্তিগত মেধাকে কাজে লাগাতে চাই। রাজশাহী শহরে কমপক্ষে এক লাখ বেকারের কর্মসংস্থান করতে চাই। আমাকে ঘিরে রাজশাহীবাসী যে স্বপ্ন দেখেছেন তার প্রতিটি পূরণ করব। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করব। রাজশাহীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলব। এই শহরে মৌলবাদীদের কোনো স্থান হবে না।

রাজশাহী সদরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার যিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাই রাজশাহীর সব আসন ছেড়ে শুধু এ আসন থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী মাঠে নেমেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটেছে।

বাদশা বলেন, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে আমি ২০০২ সালে সিটি নির্বাচনে এবং ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে লড়েছিলাম। সিটি নির্বাচনে ফলাফল পাল্টিয়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমি বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনে এটা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে রাজশাহীর মানুষ তাকে চান না।

শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণের সময় তার সঙ্গে নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, নগর জাসদের সভাপতি প্রদীপ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, রাজপাড়া থানা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক আবদুল মতিনসহ রাজশাহী ১৪ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।