মৌলভীবাজার-৩ আসনে ৬৫ কেন্দ্র দখলের অভিযোগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনে পুলিশের সহযোগিতায় মহাজোটের নেতাকর্মীরা ৬৫টি কেন্দ্র দখল করেছেন বলে অভিযোগ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এম. নাসের রহমানের।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাহারমর্দনের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এম. নাসের রহমান বলেন, ভোটারদের উপস্থিতিতে ভোট শুরুর পর বেলা ১১টা পর্যন্ত সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু ১১টার পর মৌলভীবাজার পৌরসভার ১১টি কেন্দ্র দখল করা হয়। এরপর থেকে আমার সংসদীয় আসনের দুটি উপজেলা মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর উপজেলা থেকে বারবার ফোন আসতে থাকে। একটি করে কেন্দ্র দখল হতে থাকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সদর উপজেলায় পৌরসভাসহ ৩৯টি এবং রাজনগর উপজেলায় ২৭টি কেন্দ্র দখল করা হয়।
তিনি বলেন, এসব কেন্দ্র দখল করে পুলিশের সহযোগিতায় জালভোট দেয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা। এ বিষয়ে আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দিলেও তিনি তা এড়িয়ে যান।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জানান, শুধু সরকারি দল নয় বেশির ভাগ কেন্দ্রে পুলিশ নিজে উৎসাহী হয়ে জাল ভোট দিয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদের নেতৃত্বে পৌরসভার পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শাহ মোস্তফা কলেজ এই তিনটি কেন্দ্র দখল করা হয়।
নাসের বলেন, সদর উপজেলার কনকপুর এবং আমতৈল ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে মহাজোট প্রার্থী পুলিশের উপস্থিতে নিজেই তিনটি ব্যালেটে সিল মেরেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার নিজ দলের প্রতি ভরসা রাখতে পারেনি। তাই কেন্দ্র দখলের জন্য পুলিশকে ব্যবহার করেছে। আওয়ামী লীগ দখল করলে আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করতাম কিন্তু পুলিশকে আমরা কীভাবে প্রতিহত করি? সাধারণ মানুষের সাধ্য নেই কোনও বাহিনীকে প্রতিহত করার।
নির্বাচন বর্জন করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাসের রহমান সিলেট সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ৫৫ হাজার জাল ভোট দেয়ার পরও আরিফুল হক জয়ী হয়েছিলেন। এ আসনে দখল করা প্রতিটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করার জন্য জেলা রিটাংর্নি অফিসারকে লিখিত আবেদন করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি খালেদা রব্বানি, মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ফজলুল করিম ময়ুন প্রমুখ।
রিপন দে/জেডএ/জেআইএম