রাসেল হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অভিযোগ


প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল বেপারী (৩০) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নিহতের মা ও মামলার বাদি নুরুন নাহার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঘটনার ১৬দিন পরেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খানের নির্দেশে থানা পুলিশ এজাহার থেকে বাদ দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য তার ছেলে রাসেল প্রতিবেশি ছাত্রলীগ নেতা আতিকের মধ্যস্থতায় পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরাল গ্রামের বাবুল সেরনিয়াবাতের ছেলে সাগর সেরনিয়াবাতকে ২৭ হাজার টাকা প্রদান করে। দীর্ঘদিনেও সাগর মোটরসাইকেল না দিয়ে নানা তালবাহানা করে। এক পর্যায়ে আতিকের উপস্থিতিতেই ১ জুলাই সাগর ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয়।

বাকি পাওনা সাত হাজার টাকার জন্য ৭ আগস্ট সাগরকে মোবাইল করলে সে (সাগর) রাসেলকে আগৈলঝাড়ার টেমার এলাকার সিরুর দোকানে যাওয়ার জন্য বলে। রাসেল তার বন্ধু রিন্টু সরদার ও তনুকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাগর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা রাসেল ও তার বন্ধু রিন্টুকে প্রকাশ্যে ধারালো দা, ছুরি ও ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা রাসেল ও রিন্টুকে মুর্মূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রাসেল মারা যায়।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, রাসেল মৃত্যুর আগে তার ওপর হামলাকারীদের নাম বলে যায়। সে অনুযায়ী তিনি (নিহতের মা নুরুন নাহার) বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে এসআই নজরুল ইসলাম নানা তালবাহানা শুরু করে।

অভিযুক্ত আমিনকে বাদ দেয়ার জন্য কয়েকদফা মামলা লেখার পরেও তা ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। এসআই নজরুল রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। ওই সময়ের মধ্যে আসামিদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে মামলা রেকর্ড করেন তিনি।  

তবে তার ছেলে রাসেলের মৃত্যুর আগে দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হামলাকারীদের মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খানের শ্যালক নগরবাড়ি গ্রামের মফসের হাওলাদার ওরফে মফসের ডলারের ছেলে আমিন হাওলাদারকে বাদ দিয়ে পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করে।

এ প্রসঙ্গে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন তিনি আগৈলঝাড়ায় ছিলেন না। এসআই নজরুল ইসলাম ওই দিন থানার দায়িত্বে ছিলেন। এজাহারে অভিযুক্ত কোন আসামি বাদ পরলে তদন্তপূর্বক মামলার চার্জশিটে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান ওসি।

সাইফ আমীন/এআরএ/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।