পোলিং এজেন্ট পাচ্ছেন না বিএনপির প্রার্থী বাবুল

নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার নাওঘাটা গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ কোথাও ধানের শীষের পোস্টার রাখতে দিচ্ছে না। পুলিশ ও মির্জা আজমের কর্মী বাহিনী দিয়ে তোপের মুখে ফেলে বিএনপির পোলিং এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে মামলা, হামলা, গ্রেফতার, ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করাচ্ছে। এমতবাস্থায় বিএনপির পোলিং এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। বিপুল ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কায় মির্জা আজম বিএনপির প্রতি এমন অন্যায়-অবিচার চালাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, মির্জা আজমের মদদে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের তাণ্ডব, হামলা, মামলা, দোকান, বসতবাড়ি, ভাঙচুর, গ্রেফতার, হয়রানিতে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্কসহ ত্রাস সৃষ্টি করেছে। জামালপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৭টি মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। ১৭ দিনের ব্যবধানে মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএপির সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু, মেলান্দহ সাবেক কৃষক দলের সভাপতি আলী আকবর কমিশনার, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হাফেজ হযরত আলী কমিশনার, দুরমুঠ কুলিয়ার মনসুর মেম্বার, সাহেব আলী মেম্বারসহ মোট ৩৯ জনকে গ্রেফতার এবং ৩২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমার স্ত্রী শিউলী আক্তারসহ মহিলা কর্মীরা মাদারগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে মির্জা আজমের সন্ত্রসীরা তাদের অশালীন মন্তব্যসহ নানাভাবে উসকানি ও বিব্রত করছে। বিষয়টি মাদারগঞ্জ ইউএনও এবং ওসিকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। এ ব্যাপারে মির্জা আজমের স্মরণাপন্ন হয়েও ব্যর্থ হয়েছি। নির্বাচনের প্রতিকূল ও ভীতিকর পরিবেশের জন্য ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি কারোর সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।

পোলিং এজেন্ট না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনে আছি। থাকবো ইনশাআল্লাহ। তবে ভিন্ন কৌশলে এজেন্ট টিকাবার চেষ্টা চালাচ্ছি। নির্বাচনে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে এবং ভোটারের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর সর্বশেষ ভরসা রাখছি।

সংবাদ সম্মেলনে মেলান্দহ বিএনপির সহ-সভাপতি পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক নূরুল হক জঙ্গী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ এম. রফিকুল ইসলাম রহিম, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক নূরুল আলম সিদ্দিকী, আজম খান, প্রচার সম্পাদক লিটন মিয়া, শ্রমিক দলের সভাপতি সোলায়মান কমিশনার, যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ছাত্রদল নেতা সুমন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএআর/এমকেএইচ