জামালপুর-২ আসনে লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষে
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রয়েছে শক্তিশালী প্রার্থী। পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মঞ্জুরুল আহসান খান এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মিনহাজ উদ্দিন। এখনে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। এমনটাই বলছেন সাধারণ ভোটাররা।
আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পূর্বপরিচিত। বর্তমান সাংসদ ফরিদুল হক এবারও নৌকার প্রার্থী। নদী শাসন, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করে চরাঞ্চলের সঙ্গে শহরের সেতুবন্ধন তৈরিসহ ব্যাপক উন্নয়ন করায় ভোটাররা বলছেন তিনিই আবারও এমপি হবেন।
কিন্তু হঠাৎ করে জাতীয় পার্টির আবির্ভাব ঘটে এই আসনে। গত এক বছর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ তার প্রচার-প্রচারণায় উপজেলার হাটবাজার উত্তাল করে রেখেছিলেন। একেক সময় একেক রকম শোডাউনে অন্য আসনের চেয়ে এখানে সংসদ নির্বাচন অনেক আগ থেকেই জমে ওঠে। তবে বৃহম্পতিবার আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে তিনি নৌকার মাঝি ফরিদুল হক খান দুলালকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এছাড়া এ আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মনজুরুল আহসান খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মিনহাজ উদ্দিন থাকলেও তাদের উল্লেখ্যযোগ্য প্রচার-প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না।
এছাড়া বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনিও এ আসনটি পূনরুদ্ধার করতে দিনরাত ভোটের মাঠে রয়েছেন।
তবে ২৩ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়। সেই রাতেই ওই মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর থেকেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা অনেকটা গা-ঢাকা দিয়ে গোপনে ধানের শীষের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু বলেন, এ আসনে এমপি ছিলাম, সে সময় অনেক উন্নয়ন করেছি। তাই বিএনপির প্রতি ভোটারদের আস্থা রয়েছে। আর সাধারণ ভোটাররা যদি নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তাহলে ধানের শীষে এবার নীরব বিপ্লব ঘটবে।
এদিকে সাধারণ ভোটারারা বলছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করলে লড়াই হত ত্রিমূখী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যেহেতু বড় দল আর অন্য দলের প্রার্থীদেরও তুলনামূলক জনসমর্থন কম, তার উপর নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষে।
আসমাউল আসিফ/এফএ/এমএস