নেত্রকোনার ৩ উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত


প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৫

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনার ৩টি উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত দু’দিনে বেড়েছে কংস, সুমেশ্বরীসহ ছোট-বড় বেশ কয়েকটা নদীর পানি। বন্যাদুর্গত এলাকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।  

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের প্রবল স্রোতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে । নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বড়কাপন, হরিণাকুল, কেশবপুর, চৌহাট্টা, বরইউন্দ, গোবিন্দপুর, রানাগাঁও, রাজনগর ও বাউশারী গ্রামের ভিতর পানি ঢুকেছে। এ সকল এলাকার কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। সহস্রাধিক পুকুর ও খামারের মাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে কমপক্ষে ৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ।

এ পযর্ন্ত কলমাকন্দার বড়কাপন ইউনিয়নে ২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছেন বলে বড়কাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম হাদিছুজ্জামান জানান ।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে জানান, অব্যাহত ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পাহাড়ী ঢলের পানি স্থায়ী না হলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। ঢলের পানি নেমে যাওয়ার পর পরই বলা যাবে ফসলের কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, দুর্গাপুরের সুমেশ্বরী নদী ও কলমাকান্দা উদ্ধাখালীসহ কংস নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

কামাল হোসাইন/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।