চট্টগ্রামে ১৪৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৪৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে। আজ সোমবার থেকে সারাদেশে মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) সদস্যরা।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজিবির অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে বিজিবি। সারাদেশে মোট ১১শ’ ১৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে ১৪৫ প্লাটুন বিজিবি। ১৮ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে বিজিবি, তবে কাজ শুরু করেছি ২০ ডিসেম্বর থেকে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি আসনে বিজিবির একটি করে ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় ৪-৬ প্লাটুন ও শহর এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে ৩-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।’
এদিকে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবির গণমাধ্যমকে জানান, মধ্যরাত (রোববার দিবাগত) থেকেই পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের মাঠে নামার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামার প্রস্তুতি শেষ করেছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ৩৮৯টি উপজেলায়, নৌবাহিনী উপকূলীয় ১৮ উপজেলায় এবং বিজিবি সীমান্তবর্তী ৮৭ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ২৪ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনে ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। নির্বাচন কমিশন জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আদলে এবারও ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।
জেডএ