কুড়িগ্রামে বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি


প্রকাশিত: ০৩:৩৬ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

অবিরাম ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

এদিকে, ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সে.মি.উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ২০সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানিবন্দি মানুষদের অনেকেই ঘরের ভেতর মাচা করে অথবা নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেক মানুষ ঘরে পানি উঠায় ঘর বাড়ি ছেড়ে উঁচু এলাকায় রাস্তার পাশে মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। দুধকুমার নদীর প্রবল স্রোতে চর যাত্রাপুর বাঁধের ২শ মিটার ভেঙে গেছে। টানা দু`দিন থেকে বৃষ্টির কারণে দিনমজুর শ্রেণির মানুষরা কাজে যেতে পারছেনা। ওই সব পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট, আমন ও সবজি ক্ষেত। ভেসে গেছে কয়েকশ পুকুরের মাছ। জেলার ৪০৫টি চর-দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অঘোষিত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে চর-দ্বীপচরের স্কুল ও মাদরাসাগুলোর।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ২৮.৯২, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২৩.৮০, ধরলা নদীর ধরলা ব্রিজ এলাকায় ২৬.৭৪, এবং নুন খাওয়া পয়েন্টে দুধকুমার ২৬.২৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে।

নাজমুল হোসেন/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।