কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌপথের চ্যানেলমুখে নাব্যতা সঙ্কট ও স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে বন্ধ রয়েছে সকল ফেরি চলাচল। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঢাকাগামী অসংখ্য পরিবহন।
এ পরিস্থিতিতে শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। এর আগে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল রোরো ফেরি চলাচল। আর চ্যানেল মুখ দিয়ে মূল নদীতে প্রবেশ করতে গেলে স্রোতের তীব্রতায় ডাম্প ও কে-টাইপ ফেরি বাঁধার মুখে পড়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে বন্ধ রাখা হয় এ ফেরিও। ফলে এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরিই এখন বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি এর কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, নাব্যতা সঙ্কটের কারণে রোরো ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। চ্যানেলমুখ দিয়ে রোরো মুল নদীতে প্রবেশ করতে গেলে ডুবোচরে আটকে যায়। ইতোপূর্বে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একাধিক রোরো ফেরি ডুবোচরে আটকে ছিল একাধিকবার। আইটি জাহাজ দিয়ে পরে উদ্ধার করা হয় ফেরিগুলো।
এরপর গত কয়েকদিন ধরে স্রোতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় ডাম্প, কে-টাইপ ও ভিআইপি ফেরি চলাচল বাঁধার মুখে পড়ে। চ্যানেল থেকে বের হয়ে মূল নদীতে প্রবেশ করতে গেলে স্রোতের কারণে ফেরিগুলো পদ্মা পার হতে না পারায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এ ফেরি চলাচলও বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ফলে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পদ্মানদী উভয় পাড়েই পরিবহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পঁচনশীল পণ্যবাহী পরিবহনগুলোর সমস্যা বেড়েছে আরো বেশি। দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীর উদ্দেশে আসা এ সকল পরিবহন কাওড়াকান্দি ঘাট সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান করছে পার হওয়ার অপেক্ষায়।
এসব পরিবহনের একাধিক চালকেরা জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হলে আরো কয়েকদিন এ ঘাটেই অপেক্ষা করতে হবে। আর তাহলে অধিকাংশ পরিবহনেরই পঁচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি এর কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, নাব্যতা সঙ্কটের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে স্রোতের তীব্রতা। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে রোরো ফেরি চলতে পারছে না। রোরো ফেরি চলাচলের জন্য যে পরিমাণ গভীরতার প্রয়োজন লৌহজং চ্যানেলমুখে সে পরিমাণ গভীরতা নেই। ফলে রোরো ফেরি মাঝে মাঝেই ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। আর গত কয়েকদিনে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে করে ডাম্প, কে-টাইপ ও ভিআইপি ফেরি চ্যানেল পার হয়ে সামনে অগ্রসর হতে পারে না।
ফলে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে এসকল ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে দুর্ঘটনা এড়াতে। তাছাড়া সকাল থেকেই রোরো ফেরি বন্ধ ছিল।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই প্রাকৃতিক কারণে এ মৌসুমে এসে ফেরি চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/পিআর