নেত্রকোনায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি


প্রকাশিত: ০৩:৫০ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৫

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দূর্গাপুর, কলমাকান্দা ও বারহাট্টা উপজেলার নিন্মাঞ্চলের দুই হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন তলিয়ে গেছে।

গত মঙ্গলবার থেকে নেত্রকোনা জেলায় কখনো হাল্কা কখনো ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

কৃষকদের পরিশ্রমের রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।  দূর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুরের কৃষক সিদ্দিক মিয়া জানান, ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেলে চারা ও সময়ের অভাবে নতুন করে চারা রোপন করা সম্ভব হবে না।

কলমাকান্দা উপজেলার বড়কাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম হাদিছুজ্জামান জাগোনিউজকে জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বড়কাপন, হরিণাকুল, কেশবপুর, চৌহাট্টা, বরইউন্দ, গোবিন্দপুর, রানাগাঁও, রাজনগর ও বাউশারী গ্রামের ভিতর দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

কলমাকান্দা উপজেলার ইত্তেফাক প্রতিনিধি জাফরুল্লা চৌধুরী জানান, স্থানীয় উব্ধাখালী নদী ভাঙনের কারণে দুই পাশের ১৫ টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় জাগোনিউজকে জানান, দূর্গাপুরের সুমেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার ১শ ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । পানি এখনো বাড়ছে ।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জাগোনিউজকে জানান, অব্যাহত ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দূর্গাপুর উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর ও কলমাকান্দা উপজেলায় ৬ শত হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলের পানি স্থায়ী না হলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। ঢলের পানি নেমে যাওয়ার পরপরই বলা যাবে ফসলের কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কামাল হোসাইন/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।