গাড়িতে ধাক্কা দেয়ায় লাঠি দিয়ে পেটালেন পৌর মেয়র

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রকাশ্যে এক নসিমন চালককে পিটিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগা উপজেলা পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান সাদেক। তার গাড়ির সঙ্গে ওই নসিমনের ধাক্কা লাগায় এ আচরন করেন মেয়র। এ সময় ওই চালক বার বার ক্ষমা চেয়ে ও মেয়রের পা ধরে মাফ চাইলেও উল্টো আরও চটে যান তিনি। পরে আরও কয়েক দফা তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। মেয়র সাদেকের লাঠিপেটার ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সর্বত্র সমালোচনা চলছে।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগা উপজেলার বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগা জাদুঘর হিসেবে পরিচিত) প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে ওই নসিমন চালককে এভাবে পেটানোর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

এলাকাবাসী জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগা) আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে গণসংযোগ শেষ করে নিজ গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন মেয়র সাদেকুর রহমান সাদেক। এ সময় সোনারগা জাদুঘরের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশ বোঝাই নসিমনের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়রের গাড়ির এক পাশের রঙ উঠে দাগ পড়ে যায়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ওই যুবকে মারতে শুরু করেন। ওই যুবক অপরাধ শিকার করে মেয়রের পা ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি। পরবর্তীতে মেয়রের সমর্থকরাও ওই যুবককে মারধর করে গাড়িসহ আটকে রাখেন।

মেয়র মো. সাদেকুর রহমান বলেন, আমি আমার গাড়িটা খুব যত্ন করে রাখি। কিন্তু ওই ছেলে দ্রুতগতিতে এসে বাঁশ বোঝাই নসিমন লাগিয়ে আমার গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে ফেলে। তাই ক্ষোভে হাতের লাঠি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করি। পরে স্থানীয়রা ওই ছেলেকে গাড়িসহ আটক করে রাখে।

তিনি আরো বলেন, রাগে ওই ছেলেকে মারধর করেছি। কিন্তু সেটা আমি ভুল করেছি। তাই পরে ক্ষমা চেয়ে ওই ছেলেকে ছাড়িয়ে দেই।

তবে এলাকাবাসী বলছেন, একজন পৌর মেয়র হয়ে ওই চালককে প্রকাশ্যে পেটানোর ঘটনা কারো কাছে বোধগম্য না। তিনি একজন সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে তার ক্ষমতা দেখালেন।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।